সংস্কার রিপোর্ট ও প্রোক্লামেশনে ঐকমত্যের প্রশ্ন
২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম
বিএনপি আসলে চাচ্ছেটা কী? দেখা যাচ্ছে, ইন্টারিম সরকারের প্রায় প্রত্যেকটি কাজ এবং উদ্যোগে বাগড়া দিচ্ছে। সর্বশেষ, ১৯ জানুয়ারি এই লেখার সময় বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে যে খবর পাওয়া গেল তাতে দেখা গেল, ইউনূস সরকারের কোনো কাজকেই সমর্থন করছে না তারা। দলটি ভেবেছে যে, বাংলাদেশের মানুষ নাদান। তাই যা বলবে তাই মানুষ শুনবে এবং যা বোঝাবে তাই মানুষ বুঝবে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছেন। ইংরেজিতে যেটিকে বলে Double Standard. তিনি বলছেন যে, তারা সরকারকে তো পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু একই সাথে সরকারের প্রত্যেকটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন। শুধু সরকারই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও যা কিছুই করতে চাচ্ছে অথবা যে উদ্যোগই গ্রহণ করতে যাচ্ছে, সেটিরই বিরোধিতা করছে বিএনপি।
১৯ জানুয়ারির খবর মোতাবেক মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ছাড়া সংস্কার প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি আরো বলেছেন, সংস্কার কমিশনসমূহের পূর্ণ রিপোর্ট পাওয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করবে এবং তারপরেই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি একই নিঃশ্বাসে একথাও বলেছেন যে, ঐকমত্য ছাড়া কোনোটাই গ্রহণযোগ্য হবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- বিএনপি জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, এই দাবি অবাস্তব। এত দ্রুত বিচার ও সংস্কার সম্ভব নয়। এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো বরাবর এক কথা বলে এসেছি, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যে নির্বাচন হবে এবং যে সরকার আসবে, যে দল সরকারে আসবে, তারা এই সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
এখানে রয়েছে একটি বিরাট টেকনিক্যাল প্রশ্ন। বিএনপির অবস্থান হলো, নির্বাচিত পার্লামেন্টই সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। থিওরেটিক্যালি একথা শুনতে খুব ভালো লাগে এবং গ্রহণযোগ্য মনে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঐ পার্লামেন্ট গঠিত হবে কীভাবে? নিশ্চয়ই কোনো না কোনো সাংবিধানিক পথ মোতাবেক। সংস্কার কমিশন বলেছে, পার্লামেন্টের দুইটি কক্ষ থাকবে। একটি নিম্ন কক্ষ এবং অপরটি উচ্চ কক্ষ। নিম্ন কক্ষে যারা মেজরিটি পাবে তারা সরকার গঠন করবে। আগামী ইলেকশন কি বর্তমান সংবিধানের অধীনে হবে? তাহলে তো সেই সংসদে থাকবে ৩০০ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং ৩০০ জনের ভোটে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৫০ জন প্রতিনিধি। তাহলে বর্তমান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট মোতাবেক নি¤œ কক্ষে ৪০০ এবং উচ্চ কক্ষে ১০০ জন প্রতিনিধি থাকবেন। কোনো সংরক্ষিত আসন থাকবে না। এই অর্থে যে মহিলাদের জন্য থাকবে ১০০টি আসন, যারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে? আসন্ন ইলেকশনে কি ৩০০ জন, নাকি ৪০০ জনের নির্বাচন হবে?
॥দুই॥
বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্যে অনেক ফাঁক আছে। তিনি যে পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা বলছেন তার নির্বাচন পদ্ধতি ও কার্য পদ্ধতি (Modus operandi) কী হবে? কারা প্রণয়ন করবে সংবিধান? কারা পাশ করবে সেই সংবিধান? এসব ক্ষেত্রে যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেটি কি শুধুমাত্র বড় দল হিসেবে বিএনপির সম্মতি? ঐকমত্যের তো কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে এমন কয়েকটি বিষয় আছে যেগুলো বাম এবং মধ্যবামেরা রাজি হবে না। আবার এমন কতগুলো বিষয় আছে যেগুলো ডান এবং মধ্য ডানেরা রাজি হবে না। বিএনপির একা রাজি হলেই কি চলবে? সকলের মতৈক্য তো হবে না। তাহলে সবগুলো সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট কি ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে?
এসব ক্ষেত্রে তো আসলে শুরু থেকে যাত্রা করতে হয়। এটি হয়েছিল ভারতে, এটি হয়েছিল পাকিস্তানে এবং এটি হয়েছিল বাংলাদেশে। সংবিধান প্রণয়ন ও পাশ করতে তো গণপরিষদ (Constituent Assembly) গঠন করতে হবে। দেশ ভাগের পূর্বে ১৯৪৬ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে বিজয়ীদের নিয়ে গঠিত হয় ভারত ও পাকিস্তানের গণপরিষদ। আবার ৭০ সালে পাকিস্তানভিত্তিক যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই নির্বাচনের ভিত্তিতে গঠিত হয় গণপরিষদ। ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০ ভারতীয় গণপরিষদের শেষ বৈঠকে ‘ভারতের সংবিধান’ (৩৯৫টি ধারা, ৮টি তফসিল, ২২টি অংশসহ) সকলের দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় পার্লামেন্টের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তার অব্যবহিতপূর্বে ভারতীয় গণপরিষদ কর্তৃক প্রণীত ও গৃহীত সংবিধান মোতাবেক।
পাকিস্তানে শাসনতন্ত্র প্রণয়নে গণপরিষদ লম্বা সময় নিয়েছিল। ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫৬ সালের মার্চ মাসে অর্থাৎ এই ৯ বছর ধরে পাকিস্তানের গণপরিষদ শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও পাশ করে। অতঃপর সেই শাসনতন্ত্র মোতাবেক ১৯৫৯ সালে সারা পাকিস্তানব্যাপী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু তার আগে ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি হয় এবং সদ্য গৃহীত শাসনতন্ত্র বাতিল করা হয়। ১৯৭০ সালে নতুন শাসনতন্ত্র প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে শেখ মুজিব সারা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন। কিন্তু তারা পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে পারেননি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশের গণপরিষদ গঠিত হয়। এই গণপরিষদ ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান পাস করে এবং একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। অতঃপর এই সংবিধানের ভিত্তিতে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এটাই হলো শাসনতন্ত্র বা সংবিধান রচনার পদ্ধতি। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটি ভারত ও পাকিস্তান, এমনকি স্বাধীন বাংলার ১৯৭২ সালের সংবিধান রচনার সাথে তুলনীয় নয়। এখানে সংবিধান বহির্ভূতভাবে, অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থান বা গণবিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু সংবিধান বাতিল করা হয়নি। জাতীয় সংসদ তো বহাল রয়েছে। তাহলে কাদেরকে দিয়ে সরকার গঠন করা হবে? ফলে সরকার গঠনের পথে অভ্যুত্থানকারীরা প্রথম ধাক্কা খায়।
এই ধাক্কা সামলানোর জন্য দ্বিতীয় দফায় জাতীয় সংসদ বিলোপ করা হয়। অভ্যুত্থানকারী ছাত্র নেতৃবৃন্দ ড. ইউনূসকে নতুন সরকার গঠনের অনুরোধ করেন। ড. ইউনূস রাজি হন। কিন্তু যেহেতু সংবিধান বহাল রয়েছে তার কোন অনুচ্ছেদ মোতাবেক তিনি সরকার গঠন করবেন? বিষয়টি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টে রেফার করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন বিচারপতিরা ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক ড. ইউনূসের সরকার গঠনকে বৈধতা দেন। এই বৈধতা প্রাপ্তির ২/৩ দিনের মধ্যেই সমগ্র সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এইসব ঘটনা এক কথার মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। সেটি হলো, কোটি কোটি জনতার সার্বভৌম ক্ষমতার ভিত্তিতে বা সেই জনতার সার্বভৌমত্বকে ক্ষমতা বা আইনের সর্বোচ্চ উৎস হিসেবে গ্রহণ করে সরকার গঠিত হয়। এবং সরকার গঠনের পর ঐ সরকার সংবিধানের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং এখান থেকেই সৃষ্টি হয় যত অনর্থ।
বিগত সাড়ে ৫ মাস ধরে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থান এবং সাংবিধানিকতার মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সংবিধানের ধূয়া তুলেই প্রেসিডেন্ট চুপ্পুকে অপসারণে বাধা দিয়েছে বিএনপি। নিয়মতান্ত্রিকতার দোহাই তুলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে বিএনপি। একই দোহাই পেড়ে ছাত্র-জনতার ফরমান বা প্রোক্লামেশনকে হিমাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
॥তিন॥
বিএনপি তো নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার যে দোহাই দলটি পাড়ছে সেই মোতাবেক সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ২ (খ) উপ অনুচ্ছেদ মোতাবেক ড. ইউনূসের ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। সেই নির্বাচন তো হয়নি। সংবিধান তো লঙ্ঘিত হয়েছে।
আসল কথাটি মাত্র দুই চারজন বলেছেন। অন্যেরা বলছেন না। আসলে ৫ আগস্ট যেটি ঘটেছে সেটি হলো বিপ্লব (গণঅভ্যুত্থান বললেও কিছু এসে যায় না)। পরিষ্কার কথা হলো এই যে, গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব কার্যকর করার জন্য আদালতের অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন হয় না। তাই বর্তমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক যে বৈধতা আনা হয়েছে, সেটি ছিল অপ্রয়োজনীয়। শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয়, সেটি করে সমগ্র বিপ্লবকে সাংবিধানিকতার মোড়কে ঢেকে রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব একটি স্বতসিদ্ধ, স্বতঃস্ফূর্ত বাস্তবতা। সমস্ত আইনের ঊর্ধ্বে এর অবস্থান। তৎকালীন বাস্তবতায় সমস্ত আইনের উৎস ছিল এই গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব। গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পর যেটি ছিল অপরিহার্য, সেটি হলো একটি ফরমান জারি করা। যে ফরমানই হলো প্রোক্লামেশন। সেই ফরমান জারি করা উচিত ছিল ৮ আগস্ট, অথবা ৮ আগস্টের অব্যবহিত পূর্বে বা পরে।
এই কাজটি সেদিন করা হয়নি কেন? কেন সেদিন সংবিধান বাতিল করা হয়নি? ৫ আগস্ট ক্যান্টমেন্টে পলিটিশিয়ানদের ডেকেছিলেন কারা? কারা সেদিন একটি সাংবিধানিক সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন? কেন সেদিন ফরমান বা প্রোক্লামেশন জারি করা হয়নি? উচিত ছিল সেদিন ফরমান জারি করে ড. ইউনূসকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা। অতঃপর অর্ডিন্যান্স জারি করে দেশ চালানো। সেদিন যদি সংবিধান বাতিল করে বিপ্লবী সরকার গঠন করা হতো তাহলে পরবর্তীতে যতগুলি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেগুলো হতে হতো না। এক দিকে ফরমান জারি করে দেশ চলতো, অন্যদিকে একই সাথে দেশকে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে আসার জন্য উপযুক্ত সময়ে একটি গণপরিষদ গঠন করা যেত। সেই গণপরিষদ নতুন সংবিধান রচনা করতো। অতঃপর সেই সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হতো এবং দেশ সাচ্চা গণতন্ত্রের শক্ত স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে যেত। ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার চিরদিনের জন্য নির্মূল হতো। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আব্দুল কাদির বা নাগরিক কমিটির নাসিরুদ্দিন বা আকতার হোসেন যখন বলেন যে, ৫ আগস্ট তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, তখন তাদের কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
একজন প্রাক্তন সিইসি যথার্থই বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন হলে এবং বিপ্লবী সরকার গঠিত হলে সংবিধান অকার্যকর হয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একটি অসামরিক ফরমান জারি করে প্রচলিত সংবিধানকে বাতিল বা স্থগিত বা পাশাপাশি বহাল রেখে, অসামরিক ফরমানকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হলে সাংবিধানিক বা আইনগত সংকট পরিহার করা যায়। ১২১৫ সালে বিলেতের ম্যাগনাকার্টা, ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব এবং ১৯১৭ সালের রুশ তথা বলশেভিক বিপ্লব ইতিহাসের পাঠ্য হয়ে ভবিষ্যতের অনেক বিপ্লবকে প্রেরণা জুগিয়ে উৎসাহিত করেছে। আমার মতো অনেকের আশঙ্কা, বিপ্লব, গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিকতা নিয়ে যে জগাখিচুড়ি পাকানো হয়েছে তার ফলে জুলাই আগস্টের বিপ্লব বা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পথে চলেছে। কারো কারো মতে, বিপ্লব বা অভ্যুত্থান ইতোমধ্যেই হাতছাড়া হয়ে গেছে।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ